ময়মনসিংহ: ভালুকায় উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রামে চাচির পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু ফারজানা আক্তারকে (৫) হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলার বিচার চেয়ে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শিশুটির পিতা ফজলুল হক ফজু।
গত বছরের ৯ নভেম্বর উপজেলা পাঁচগাঁও গ্রামে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর ওই শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির বাবা ফজলুল হক ওরফে ফজু মিয়া বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার ৯ মাস পার হলেও পুলিশ এখনো চার্জশিট না দেওয়া এবং মূল আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশুটির বাবা। এই হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত থাকলেও গ্রেফতার হয়েছিল মাত্র ২ জন।
মামলার প্রধান আসামি শফিকুল কারাগারে ছিলেন মাত্র ৩ মাস ও অন্যতম আসামি মিনারা খাতুন ২২ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়েছেন। তবে মামলার বাদী ফজলুল হক অভিযোগ করেন, আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে।
ফারজানা আক্তারের বাবা ফজলুল হক ফজু মিয়া আরও বলেন, ‘ফারজানা তার চাচির পরকীয়া সম্পর্ক দেখা ফেলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফারজানার চাচির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল মল্লিকবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের। তিনি বর্তমানে স্থানীয় একজন ব্যক্তির ছত্রছায়ার পাপুয়া নিওগিনিতে বসবাস করছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আমার মেয়ে হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আমি গরিব মানুষ বলে কি মেয়ে হত্যার বিচার পাব না?
মামলার সূত্রে জানা যায়, ফারজানা আক্তার ঘটনার দিন স্থানীয় মক্তব থেকে ফেরার পথে পাশের এক বিয়ে বাড়িতে যায়। দুপুরের দিকেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে স্থানীয়ভাবে মাইকিং করা হয়। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাঁশের ঝাড়ে ফারজানার লাশ অর্ধঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান জানান, মামলার ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ডেও আনা হয়েছিল। শিশুটির ডিএনএ রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলে চার্জশিট দিতে পারছি না। তবে আশা করছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।
সোনালীনিউজ/